জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আলবেরুনী হলের গণরুমে প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের রাতভর নির্যাতন (র্যাগিং) করেছে একই হলের দ্বিতীয় বর্ষের (৫০ ব্যাচ) কয়েকজন শিক্ষার্থী।
গত সোমবার রাতের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আইন ও বিচার বিভাগের প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ও হলের আবাসিক ছাত্র মো. ফুয়াদ হাসান।
অভিযুক্তরা হলেন বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাকিব, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এনাম, অ্যাকাউন্টটিং বিভাগের আশিক। তাদের সঙ্গে নাম না জানা আরও কয়েকজন ছিলেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন ফুয়াদ। অভিযোগপত্রে ফুয়াদ জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী গণরুমে যান। তারা সেখানে থাকা শিক্ষার্থীদের বাবা-মা তুলে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন।
এরপর তাদেরকে মুরগি (একটি বিশেষ ভঙ্গিতে বসানো) বানিয়ে বসিয়ে রাখেন। এ সময় একজন শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। কিছুক্ষণ পর উচ্চরক্তচাপজনিত কারণে আরেকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও তারা থেমে থাকেনি। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের তারা অত্যন্ত নোংরা ও আপত্তিকর ভঙ্গিতে আচরণ করতে বাধ্য করেন।
এরপর ভোর ৪টার দিকে তারা বের হয়ে যান। আশিক ও এনামের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরই তারা ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। সাকিবের ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনিও কল ধরেননি।
আলবেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, আমি অভিযোগের তথ্য পেয়েছি। এই মাত্র অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানামাত্রই আমরা হলের পক্ষ থেকে জরুরি মিটিং ডেকে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের আওতায় দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করব।
প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, অভিযোগপত্র পেয়েছি। যেহেতু এটা হলের বিষয়। সুতরাং হল প্রভোস্টকে বিষয়টি জানাব। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।