জুতা ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় জাবি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সাব্বির হোসেন নাহিদ (সহ-সভাপতি) এবং মেহেদী হাসান জয় (সাংগঠনিক সম্পাদক)।
নাহিদ নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র।
মেহেদী হাসান জয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী।
রোববার (৭ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি সাব্বির হোসেন নাহিদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জয়কে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
এছাড়া, অভিযুক্তদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার উপযুক্ত জবাবসহ কারণ আগামী ৭ দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৬ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাঙ্গামাটি এলাকার পানির ট্যাংকের সামনে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন রানাকে মারধরের অভিযোগ উঠে নাহিদ ও জয়ের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য রানা জানান, ইসলামনগর বাজারে মশারি কিনতে গেলে তার পথ আটকায় নাহিদ ও জয়। এসময় তাকে মারধর করে দল না করতে হুমকি দেন তারা।
এর আগের দিন গত ৫ মে ইসলামনগর বাজারে এক ব্যবসায়ী, তার ভাই ও দোকানের কর্মচারীকে মারধর করেন জাবির এ দুই শিক্ষার্থী।
জুতা পালিশ করতে দেরি হওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডায় 'মেস্মেরাইজ' দোকানের মালিক রোমেন রায়হান, দোকানের ম্যানেজার মিরাজুল ইসলাম মিরাজ ও রায়হানের বড় ভাই নেওয়াজ রাসেল বাপ্পিকে মারধর করেন তারা।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, নাহিদ ও জয় দোকান মালিক ও তার কর্মচারীকে বাইরে এনে মারধর করেন৷ এসময় দোকান মালিকের ভাই এগিয়ে এলে তাকে মারধর করতে দেখা যায়।
অবশ্য দুটো ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদ্য বহিষ্কৃত জাবি ছাত্রলীগের এ দুই নেতা।