করোনাকালে ঘরে বসেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির আবেদন ফি কোনো চার্জ ছাড়াই বিকাশে পরিশোধ করে করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। নিরাপদে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বিকাশে ফি পরিশোধ করে অনলাইনে ভর্তি আবেদনের এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বাড়তি স্বস্তি এনে দিয়েছে। গত ২০ জুন শুরু হওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি আবেদন কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া:
ভর্তির আবেদন করতে শিক্ষার্থীকে প্রথমেই জাবির ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের (https://juniv-admission.org/) হোমপেজে ‘নতুন আবেদন’ অপশনে ক্লিক করে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান ও মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার শিক্ষাবোর্ড, পাসের সাল, রোল নম্বর দিতে হবে। পরের ধাপে ন্যূনতম যোগ্যতা যাচাইপূর্বক মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রেরিত পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করতে হবে। আবেদনযোগ্য ইউনিটগুলোর তালিকা থেকে আবেদন ফি প্রদান করে এক বা একাধিক ইউনিটে আবেদন করা যাবে।
বিকাশে ফি পরিশোধ পদ্ধতি:
ফি প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পাশে ‘ফি প্রদান করুন’ বাটনে ক্লিক করলে ফিয়ের পরিমাণ এবং নিশ্চিতকরণ অপশন দেখতে পাবেন শিক্ষার্থী। ‘নিশ্চিত করুন’ বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী স্ক্রিনে বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়ে পাবেন। বিকাশ আইকন সিলেক্ট করে ‘পেমেন্ট সম্পন্ন করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
পরের স্ক্রিনে বিকাশ নম্বর টাইপ করতে হবে এবং শর্তাবলীতে সম্মতি দিয়ে ‘কনফার্ম’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এসএমএসে আসা ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড বা ওটিপি পেমেন্ট স্ক্রিনে দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। এরপর বিকাশ পিন দিলে পেমেন্ট সম্পন্ন হবে।
পেমেন্ট সফল হলে সাথে সাথেই একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন আবেদনকারী। শিক্ষার্থী চাইলে ‘প্রোফাইল’ থেকে ‘পে স্লিপ’ বাটনে ক্লিক করে পরিবেশবান্ধব ডিজিটাল রিসিপ্ট অর্থাৎ টাকা জমাদানের রশিদ ডাউনলোড করতে পারেন যা ভবিষ্যৎ প্রমাণের জন্য সহজেই সংরক্ষণ করতে পারবেন।
আবেদন ফি বিকাশ করা হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা জাবি ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগ ইন করার পর নিজ নিজ প্রোফাইলে স্বাক্ষর ও ছবি আপলোড করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অথবা ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্তির আবেদন ফি পরিশোধকে সহজ করেছে বিকাশ। ফলে গত কয়েক বছর ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আবেদন ফি পরিশোধে বিকাশের বহুল ব্যবহার দেখা যায়। কেবল ভর্তির আবেদন ফি-ই নয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন থেকে শুরু করে অন্যান্য ফিও বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিকাশে বর্তমানে ৫০০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিশন ফি ও অ্যাকাডেমিক ফিসহ সব ধরনের ফি পরিশোধের সুবিধা চালু রয়েছে।