হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে থাকা ‘জামাই বাবু’ নামে এক ব্যক্তির পরিচয় খুঁজে পায়নি তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘ভবিষ্যতে তার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে’। ফলে জামাই বাবু ছাড়াই মামলার বিচার কাজ শেষ হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলা।
অভিযোগপত্রের বর্ণনা অনুযায়ী, মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পলাতক আসামি সবুজই প্রথমে ড. শফিউলের মাথায় কোপ মারেন। মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ ছিল না। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে অভিযুক্তদের নাম। এরপর তাদের অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আটজনকে। পরে মামলার অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: একজন অধ্যাপককে কেন খুন করা হলো? (ভিডিও)
এ হত্যাকা-ে ‘জামাই বাবু’ নামে এক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসে। তবে তদন্তকালে পুলিশ তার আসল পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি। ফলে মামলার রায়েও তার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। মামলার অভিযোগপত্রের ছয় নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- ‘মামলাটি তদন্তে আসামীদের জবানবন্দি মোতাবেক জামাই বাবু নামে একজন আসামীর নাম জানা গেলেও তাহার পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা পরিচিতি পাওয়া যায় নাই’।
অভিযোগপত্রে জামাই বাবু সম্পর্কে আরো বলা হয়, ‘ঘটনাটির সহিত জড়িত আসামিদের সহযোগী তদন্তে প্রাপ্ত জামাই বাবু এর সঠিক নাম-ঠিকানা পাওয়া যায় নাই। ভবিষ্যতে তার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জানতে চাইলে মামলার অভিযোগপত্র দাখিলকারী পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক বলেন, তিনি সঠিকভাবেই মামলার তদন্ত করেছিলেন। তদন্তে যা পেয়েছিলেন সেগুলোই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক শফিউল হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি
‘জামাই বাবু’ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার আগেও কয়েকজন মামলাটির তদন্ত করেন। তারা জামাই বাবুর প্রসঙ্গটা এনেছিলেন। তিনি পরবর্তীতে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেননি। তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ ছিল না।
‘জামাই বাবু’ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আসামীদের জবানবন্দিতে এই নামটা এসেছে। কিন্তু তার পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্যই সংগ্রহ করতে পারেনি পুলিশ। ফলে স্বাভাবিকভাবে রায়েও জামাই বাবুর কোনো প্রসঙ্গ নেই।