৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগের লক্ষ্যে নানাভাবে বিতর্কিত ও জামাতপন্থী শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা খুরশীদ আলমের নাম প্রস্তাব করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। অর্থনীতি বিষয়ের অধ্যাপক হলেও খুরশীদ আলম বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখায় কর্মরত। তার পদটি সহযোগী অধ্যাপকের হলেও নিম্নপদে আকঁড়ে পড়ে রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত।
বুধবার (২ জানুয়ারি) প্রকল্প পরিচালক হিসেবে খুরশীদের নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেছেন মহাপরিচালক। ডামি প্রার্থী হিসেবে আরও দু’জনের নাম পাঠেনো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। তারা হলেন, ইংরেজির ওএসডি অধ্যাপক রিজওয়ানুল হক এবং রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম কবীর। এছাড়া ওই পদের জন্য আবেদন করলেও মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়নি নাসির উদ্দিন ও রায়হানা নামের দুজনের।
উল্লেখ্য, শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর থেকে ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
এর আগে খুরশীদ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিসার ইন চার্জ পদে ছিলেন দীর্ঘদিন। ওই পদে কোনও কাজ না থাকলেও তিনি ওই পদে ছিলেন।
শিক্ষাখাতে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে সুবিধার বিনিময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। কয়েকবছর আগে ক্যামরিয়ানের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে মোটা অংকের টাকার নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার খুরশীদ আলমের বিরুদ্ধে জামাত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তারই কয়েকজন সহকর্মীর। বেসরকারি কলেজ ও স্কুলে তদন্তে গেলে জামাত-বিএনপিপন্থীদের ছাড় দেয়ার অভিযোগ খুরশীদের বিরুদ্ধে। তার কয়েকজন সহকর্মী দৈনিক শিক্ষার কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।
খুরশীদের মতামত জানতে চেয়েও পাওয়া যায়নি।