জামিনে বের হয়ে ফের ভুয়া প্রশ্ন ফাঁস

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

এসএসসির ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ র‌্যাব-৭-এর হাতে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে গ্রেফতার হয়েছিলেন আবদুল্লাহ ফাহিম (২০)। চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। জামিনে ছাড়া পেয়েও মতিগতি পাল্টাননি তিনি। এবার আবার একই অভিযোগে রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সেই সঙ্গে এমন চক্রের আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডিবির (উত্তর) উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া বাকি তিনজন হলেন মো. শামীম আহম্মেদ (১৯), মো. নবীন আলী (২২) ও ১৭ বছরের এক কিশোর।

মশিউর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে এবারের এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী একটি চক্র বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ঢাকায় মিলিত হবে। পরে অভিযান চালিয়ে ফকিরাপুল জোনাকি (আবাসিক) হোটেলের সামনে থেকে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি প্রশ্নফাঁস চক্রের চার সদস্যকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া আব্দুল্লাহ ফাহিম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষার, বিভিন্ন চাকরির, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষার মার্কশিট ও পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন চক্রের সঙ্গেও তিনি জড়িত। এই চক্রের সঙ্গে প্রায় পাঁচ শ জন জড়িত। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা বলে বা রেজাল্ট পরিবর্তনের কথা বলে ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ এজেন্ট নম্বরের মাধ্যমে হাতিয়ে নিতেন তাঁরা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরেক আসামি শামীম আহম্মেদ জানান, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে থাকেন। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভুয়া প্রশ্নপত্র দেওয়ার নাম করে বিকাশের মাধ্যমে ৫০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন। তাঁর গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৩০০ এর বেশি।

গ্রেফতার হওয়া ১৭ বছর বয়সের ওই কিশোর জানায়, গ্রেফতার নবীন আলী তাঁর চাচাতো ভাই। তাঁর সঙ্গে কাজ করত সে। গ্রুপের সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে নবীন আলীকে সরবরাহ করার কাজ ছিল তার। নবীন আলী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতারণা করে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে, বিকাশ এজেন্ট নম্বরের মাধ্যমে ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিত।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ - dainik shiksha শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031280517578125