একে তো নিজের অমুক্তিযোদ্ধা পিতাকে মুক্তিযোদ্ধা দেখিয়ে জাল সনদ তৈরি করেছেন। আবার সেই জাল সনদ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় একই সঙ্গে নিয়েছেন দুটি সরকারি চাকরি।
এমন জাল-জালিয়াতি প্রমাণ পেয়ে ওই শিক্ষক ও তার ভুয়া মক্তিযোদ্ধা পিতার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বাদি হয়ে মামলাটি দায়েরে করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গাইবান্দা জেলার গোবিনন্দপুরে উপজেলার মহিমাগঞ্জ পুনতাইড়ের আবু সাঈদ মো. নুরে হাবিব তার পিতা মো. রায়হানুল হক শাহের নামে ভুয়া মুক্তাযোদ্ধা সনদ জাল করে ২০১১ সালে গোবিন্দগঞ্জের ফুলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেন। একইভাবে ২০১৫ সালে গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদে চাকরি নেন ওই শিক্ষক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আবু সাঈদ মো. নুরে হাবিব জাল জালিয়াতি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ৫ লাখ ১৮ হাজার ১৬৮ টাকা আত্মসাত করেন। একই ভাবে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদ থেকে বেতন হিসেবে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৪ টাকা আত্মাসৎ করেন।
দুটি পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২ টাকা আত্মসাৎ তরার অভিযোগে তাদের নামে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ধারায় মামলা করে দুদক।