ভোলার চরফ্যাশনে জাল সনদে ২৯ বছর চাকরি করার পর সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন মো. গোলাম হোসেন সেন্টু নামে এক প্রধান শিক্ষক। তিনি উপজেলার চরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আলিম পরীক্ষা পাসের সনদ জাল করে তিনি চাকরি নিয়ে সরকারি সুবিধাভোগ করছিলেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুকের আদেশে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা তৃষিত কুমার চৌধুরী কর্মকর্তা।
জানা যায়, সেন্টু উপজেলার উত্তর চাচড়া মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে আলিম পরীক্ষায় পাস করেছেন মর্মে সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ চরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন। অথচ ওই মাদরাসায় ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ওই নামে কোনো ছাত্র আলিম পরীক্ষায় অংশ নেননি।
বরিশাল বিভাগের উপপরিচালকের কার্যালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, জালসনদে চাকরির করার অভিযোগে প্রধানশিক্ষা গোলাম হোসেনে বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আলিম পাসের সনদ নিয়ে চাকরি নিয়েছেন তিনি। পরে অবৈধভাবে সরকারি সুবিধাভোগ করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হলে তিনি শুনানির জন্য আবেদন করেন। শোকজের জবাবে তিনি এসএসসি সনদ নিয়ে চাকরি নিয়েছেন দাবি করলেও শুনানির দিন উপস্থিত হননি তিনি। এ অভিযোগে তাকে ৪ অক্টোবর থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে, তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তৃষিত কুমার চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, জাল সনদের অভিযোগে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।
