জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তিনটি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এরসঙ্গে ১০টি ভবন মেরামতের জন্য বলা হয়েছে।
রোববার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজউক থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। তারা তিনটি ভবন ভেঙে ফেলার এবং ১০টি ভবন মেরামতের জন্য বলেছে। তবে সেগুলো কোন ভবন তা তারা নির্দিষ্ট করেনি। এজন্য আমরা আবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানতে চেয়ে রাজউকের কাছে চিঠি লিখেছি। তারা প্রতিউত্তর করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। ’
এর আগে গতকাল (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।
এক সপ্তাহের মধ্যে এসব ভবন খালি করার নির্দেশনা দিয়ে আজ সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। প্রথমে মালিকদের নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলতে দুই মাস সময় বেঁধে দেওয়া হবে। তা না হলে রাজউক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়ে মালিকপক্ষের কাছ থেকে খরচ আদায় করবে।
অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি ভবনসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ভবন রয়েছে।
এছাড়া মেরামত করার তালিকায় রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ভবন, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, মাদরাসা বোর্ডের ছয়টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।
আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের (ইউআরপি) আওতায় চালানো জরিপে যে ভবনগুলো পাওয়া গেছে, আপাতত সেগুলোকে নোটিশ দেওয়া হবে। তবে তা জনসম্মুখে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক।
এ ব্যাপারে রাজউক বোর্ডের সদস্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস বলেন, ইউআরপির তালিকায় থাকা অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা আপাতত প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ, এতে আবার মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হতে পারে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম মোহাম্মদ শরীফ বলেন, রাজউক দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কাজ করছে। এখন তার ফলশ্রুতিতে তারা একটা নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা নির্দেশনার ব্যাপারে বিস্তারিত রাজউকের কাছে জানতে চেয়েছি।