জিল হোসেনকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বাকৃবিকে : হাইকোর্ট

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বাংলাদেশ কৃৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিল হোসেনের ন্যায়বিচারের লড়াইটা ছিলো অন্য সবার চেয়ে আলাদা। প্রথমে আদালতের মাধ্যমে স্নাতকের সনদপ্রাপ্তি ও পরে ক্ষতিপূরণ দাবি। অবশেষে ৭২ বয়সে তার মৃত্যুর এক বছর পর বিচারিক আদালতের দেওয়া দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার সকালে বিচারিক আদালতের দেওয়া দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতেই ধ্বংস হয়েছে জিল হোসেনের জীবন।

এসময় আদালত আরও বলেছেন, জিল হোসেনের স্ত্রী ও তার আট ছেলেমেয়ে এই অর্থ পাবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস জানান, আপিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত স্নাতক পরীক্ষার ফলে অকৃতকার্য হন শিক্ষার্থী জিল হোসেন। কারণ কর্তৃপক্ষ তার প্রাপ্ত ভগ্নাংশ যোগ করেননি।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আবেদন করেও লাভ হয়নি। দুই বছর পর তাকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিচারিক আদালতে গিয়ে জয়ী হন জিল হোসেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুনানি শেষে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে হাইকোর্ট তাকে সনদপত্র দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়। কিন্তু ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে যখন জিল হোসেনের বয়স ৪৭ বছর তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে নম্বরপত্র দেয়।

এরপর ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন জিল হোসেন। বিচারিক আদালত তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে রায় দেয়। এর বিরুদ্ধে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে আবারও হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৫ লাখ টাকা জমা দেওয়ার শর্তসাপেক্ষে স্থগিতাদেশ দিলেও সে টাকা গতবছর জমা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি আপিল নিষ্পত্তিতেও কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকালে বিচারিক আদালতের দেওয়া দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। এ রায়ে সন্তুষ্ট হলেও জিল হোসেন হাইকোর্টের এ রায় দেখে যেতে পারেননি বলে আক্ষেপ রয়েছে তার ছেলে নুর মোহাম্মদের।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঘুষকাণ্ড চাপা দিয়ে স্কুল অডিটে মনকিউল - dainik shiksha ঘুষকাণ্ড চাপা দিয়ে স্কুল অডিটে মনকিউল শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার, জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার - dainik shiksha শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার, জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার মাউশি কমকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে লিয়াকত-অহিদুর - dainik shiksha মাউশি কমকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে লিয়াকত-অহিদুর নবম-দশমের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা আপলোডের নির্দেশ - dainik shiksha নবম-দশমের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা আপলোডের নির্দেশ ক্ষমতায় গেলে ফরম থেকে কে কোন ধর্মের সেই প্রশ্ন তুলে দেয়া হবে - dainik shiksha ক্ষমতায় গেলে ফরম থেকে কে কোন ধর্মের সেই প্রশ্ন তুলে দেয়া হবে ডাকসুতে প্যানেল বাতিলসহ ৮দফা প্রস্তাবনা ইউআরআই‘র - dainik shiksha ডাকসুতে প্যানেল বাতিলসহ ৮দফা প্রস্তাবনা ইউআরআই‘র কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054588317871094