জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেছেন, দর্শনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নীতিগত ও বাস্তবিক দিক। জীবনের যেকোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য দর্শনের উপযোগিতা রয়েছে। দার্শনিকদের বিভিন্ন মতবাদ সমাজের বিভিন্ন স্তরে আমাদের আলোড়িত করে থাকে। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। তিনি বলেন, নবীন শিক্ষার্থীরা যে বিষয়েই ভর্তি হোক না কেনো প্রথম থেকেই সে বিষয়টাকে ভালোবাসতে হবে, তাহলেই তারা জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি আশানুরূপ ফলাফল করতে পারবে। আর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব সময় আত্মিক সম্পর্ক থাকবে।
প্রধান আলোচক হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মানস চৌধুরী দর্শন শাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে ‘উল্লাস ও সংশ্লেষ’ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান স্বাগত বক্তব্য দেন উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ার্দ্দার ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র্যালি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এছাড়াও দর্শন বিভাগের অভ্যন্তরীণ ইনডোর প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।