জুতা পায়ে শহীদ মিনারে অধ্যক্ষ

জামালপুর প্রতিনিধি |

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জুতা পরে ভাষাশহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কলেজের এক অধ্যক্ষ। জুতা পায়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠা ওই ব্যক্তির নাম আবু সাইদ। তিনি মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর আব্দুল জলিল কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অধ্যক্ষ আবু সাইদ তাঁর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিতে যান। এ সময় অন্য কারও পায়ে জুতা না থাকলেও তিনি জুতা পরা অবস্থায় শহীদ মিনারে ফুল দেন। শ্রদ্ধা জানানোর সময় ছবিও তোলেন তিনি। ওই ছবি স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে এটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবু সাইদ মুঠোফোনে বলেন, ‘এটা আমার ভুল হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, তাড়াহুড়া করতে গিয়ে জুতা পায়ে থাকার বিষয়টি একদম খেয়াল করতে পারিনি। এটা আমার ভুল হয়েছে। দয়া করে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

জামালপুরের ভাষা ও মুক্তিসংগ্রাম গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘একজন সাধারণ মানুষ এ ধরনের ভুল করলে কিছুটা হলেও মানা যেত। একটি কলেজের অধ্যক্ষ যখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন, তখন আমরা সত্যিই লজ্জা পাই। ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি। তাঁদের প্রতি কীভাবে শ্রদ্ধা জানাবেন, সেটাও একজন অধ্যক্ষ জানবেন না?’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মুস্তারি বলেন, ‘উনি যদি জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠেন, তাহলে এটা মারাত্মক অপরাধ করেছেন। ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা মারাত্মক অপরাধ। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026090145111084