গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তরের যে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, সেটি গবেষণার ক্ষেত্রও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবে সারা দেশের স্মৃতিগুলো এখানে (গণভবন) জাদুঘরের বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতি হিসেবে রাখা হবে। এছাড়া গত ১৬ বছরে যে নিপীড়নের স্মৃতি রয়েছে, আপনারা ইতোমধ্যে শুনেছেন আয়নাঘরের একটা রেপ্লিকা করার কথা ভাবা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: জুলাই স্মৃতি জাদুঘর বাস্তবায়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
“সেই সকল নিপীড়নের চিহ্ন এবং বিজয়ের চিহ্ন এখানে জড়ো করা হবে। এখানে শুধু অনেকগুলো স্মৃতিকে ধারণ করা নয়, বরং আমাদের একটি গবেষণার ক্ষেত্রও হতে পারে।”
শনিবার ( ২ নভেম্বর) গণভবন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জাদুঘর রূপান্তর কাজের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ ইসলাম বলেন, “পুরো বিষয়টা কমিটি দেখবে, টাইম লাইনের বিষয়টা তারা ঠিক করবে। তখন আপনারা জানতে পারবেন।”
জাতীয় সংসদের উত্তর কোণে শেরেবাংলা নগরের প্রাসাদোপম গণভবন নামের বাড়িটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন ছিল।
প্রবল গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখেশেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার মুহূর্তে, ৫ অগাস্ট হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গণভবনে প্রবেশ করে।
তারা গণভবনের দেয়াল ও কামরায় তাদের ক্ষোভের প্রকাশ ঘটিয়ে গ্রাফিতি আঁকে এবং 'খুনি হাসিনা' সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান লিখে রেখে যায়। এখন সেই বাড়িটিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপ দেয়া হচ্ছে।
নির্বাচন পরবর্তী সরকার গণভবনকে জাদুঘর হিসেবে রাখবে কি না? উত্তরে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “অবশ্যই, এটা তো আমাদের প্রত্যাশা থাকবে; জনগণেরও এটা একটা আকাঙ্ক্ষা। এটা যে জাদুঘর হবে- এটা রাজনৈতিক ঐক্যমত্যেই হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে এখন যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, এই ক্ষেত্রে সবার ঐক্যমত আছে।
“পরবর্তীতে যেই আসুক না কেন, এটা জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে থাকবে। সবাই এটাকে ধারণ করবে। এটার কার্যক্রম সবসময় চলমান থাকবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”