নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দায় অবস্থিত কবি নজরুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিমের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগে সই নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু তাঁর ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ রেজাউল করিম মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ সুপার তা জানেন না বলে দাবি করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ নজরুল ইসলাম বলেন, ১ জানুয়ারি বই বিতরণের উৎসব থাকলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তা করেননি। কেন ১ তারিখে বই বিতরণ করা হয়নি, সে বিষয়ে ইউএনও ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে ৩ জানুয়ারি তিনি, ইউএনও, থানা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উপজেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন। সেখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সাংসদ আরও বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে মতৈক্য থাকতে পারে। সেখানে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওই শিক্ষক নন-এমপিওভুক্ত। ৬৮ বছরের ওই প্রতিষ্ঠানে কীভাবে একজন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, এ নিয়ে শিক্ষকদের একটি অংশ তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তিনি স্কুলের শিক্ষকদের চাপে পড়েছেন, তাই মিথ্যাচার করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অধ্যক্ষ অভিযোগ করেন, ৩ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাংসদ নজরুল ইসলাম ২০০-২৫০ জনের একটি দল নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে যান। সেখানে সাংসদ তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন। এতে রাজি না হলে পাশে থাকা তোফাজ্জল, খলিল, সামসুল মাস্টার, জয়নাল মাস্টার, মোশারফ মাস্টার উঠে এসে তাঁকে মারতে উদ্যত হন। সাংসদ তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সাংসদ জোর করে তাঁকে দিয়ে পদত্যাগপত্র লিখিয়ে তাতে সই নিয়ে দলবল নিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আড়াইহাজার থানায় গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।
অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এসপি খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ দিলে দিতে পারে। তবে সেটা এখনো আমি জানি না।’