জয়পুরহাটে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

দৈনিক শিক্ষাডটকম, জয়পুরহাট |

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও স্থানীয় আ.লীগের সভাপতি এম এইচ নুরুন্নবী চৌধুরী রতন ও প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএইচ নুরুন্নবী চৌধুরী রতন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে সভাপতির পদে থেকে বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ের ৬১ বিঘা জমি তার ইচ্ছামত ছাত্রলীগ, যুবলীগদের হাতে নামমাত্র মূল্যে লিজ দিয়ে সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আমরা তাদের পদত্যাগ চাই। দ্রুত পদত্যাগ না করলে কঠিন আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল হোদা বলেন, আমরা আজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমাদের প্রধান দাবি আমরা দূর্নীতিমুক্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

মাহমুদপুর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এম এইচ নুরুন্নবী চৌধুরী রতন বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি৷ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। দেশের এ প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের জন্য সব স্কুলে এমন সমস্যা হচ্ছে। বিএনপি এসব করছে। শিক্ষার্থীরা যদি না চায় আমি সভাপতি থাকবো না।

এবিষয়ে মাহমুদপুর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাড়ি গেলে পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি (প্রধান শিক্ষক) চিকিৎসা নেয়ার জন্য দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন। তবে তিনি আত্মগোপনে রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল আমিন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032329559326172