ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলগামী করতে ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা) বা ৫৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন চুক্তিতে সই করেন।

দেশে শিক্ষার হার শতভাগ নিশ্চিত করতে নানা সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ঝরেপড়া, নদীভাঙন ও চরাঞ্চলের বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনতে ২০১৩ সালে রস্ক-২য় পর্যায় প্রকল্পটি চালু করা হয়, যা ‘আনন্দ স্কুল’ নামে পরিচিত। আনন্দ স্কুলে শুধু ৮ থেকে ১৪ বছরের শিশুরা ভর্তি হতে পারবে; যারা কখনও স্কুলে যায়নি বা প্রাথমিকেই ঝরে পড়েছে। একটি স্কুলে কমপক্ষে ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। তবে, কেউ সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি থাকা অবস্থায় আনন্দ স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

অতিরিক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলায় এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ট্রেড এ প্রি ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, এই সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজার। এছাড়া ১০টি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ঝরেপড়া ও সুবিধাবঞ্চিত ৩১ হাজার ২০০ বস্তিবাসী শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম নেওয়া হবে।

ঋণের অর্থ ৫ বছরের রেয়াতিকালসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের ওপর বার্ষিক ১ দশমিক ২৫ হারে সুদ এবং ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। অর্থের ওপর সর্বোচ্চ বার্ষিক ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে বিশ্বব্যাংকে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030710697174072