ঝালকাঠি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ক্যাম্পাসের গাছ অবৈধভাবে কাটার সময় জব্দ করেছেন বন বিভাগ। টিটিসির অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানার নির্দেশে টিটিসি ড্রাইভার তুষার শ্রমিক নিয়ে শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে গাছ কাটেন বলে জানা গেছে। গাছ কাটা শুরু করলে স্থানীয়রা বিষয়টি বনবিভাগের কাছে অভিযোগ করলে সহকারী বন কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭টি গাছের অর্ধেক কাটা এবং ৩টি গাছের ডাল কাটা অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তিনি কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার শ্রমিক নিয়ে অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানা তার ড্রাইভার তুষারকে দিয়ে গাছ কাটতে নির্দেশ দেন। সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি সাংবাদিক ও বনবিভাগকে জানালে সাংবাদিক ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে বেশ কিছু গাছ কাটার নমুনা পায়। কিন্তু এর পূর্বেই অনেক গাছ নিরাপদে সড়িয়ে রাখে শ্রমিকরা। ঘটনাস্থলে গিয় বন কর্মকর্তা একটি গাছ জব্দ করেছে।
কর্মচারী তুষার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, অধ্যক্ষ ম্যাডাম আমু ভাইয়ের (আমির হোসেন আমু ) জন্য চেয়ার বানাতে আমাকে গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমি শ্রমিক নিয়ে গাছ কাটা শুরু করেছিলাম।
সহকারী বন কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুজ্জামান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ঝালকাঠি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যাম্পাসের আওতায় ১০ টি গাছ কাটার চেষ্টা করছিলো। এর মধ্যে ৩টি গাছের ডালপালা ও ৭টি গাছের অর্ধেক কাটা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি গাছের অংশ বিশেষ জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টিটিসি অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, একটি রেইনট্রি গাছের কয়েকটি ডাল ভেতরের অনেক জায়গা নষ্ট করতেছিলো। সেই গাছের ডাল কাটার জন্য বলেছিলাম। এর বাইরে কি হয়েছে তা আমি জানি না।
