বদলে যেতে শুরু করেছে ঝালকাঠি বিসিক শিল্প নগরীর দৃশ্যপট। নতুন নতুন উদ্যোক্তারা ঝুকছেন নানারকম ক্ষুদ্র শিল্প ও বিভিন্ন পণ্যের কারখানা নির্মাণে। ফলে কর্মসংস্থান হচ্ছে অসংখ্য বেকারদের।
এক সময়ের প্রাচীন বাণিজ্যিক বন্দর ঝালকাঠিতে আড়দ্দারী ব্যবসা ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প ঝিমিয়ে পড়েছিলো। তবে বিসিক শিল্পনগরী স্থাপনের পর উদ্যোক্তারা বিভিন্ন শিল্পের কল-কারখানা স্থাপনে ঝুঁকে পড়েছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বেড়ে গতি। ফেলে দেয়া প্লাস্টিককে রিসাইকেলিংয়ের মাধ্যমে সুতোর কারখানা, সষিরার তেল, বর্তমানে বেশ কটি কারখানা চালু হওয়ায় কয়েকশ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। লবণ, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রিক, পাইপসহ আরো ৪০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে উদ্যোক্তাদের ব্যবসার প্রসারের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলছে স্থানীয় সাধারণ মানুষের।
স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শহরতলীর প্রতাপ এলাকায় বিসিকি স্থাপিত হয়েছে। আগে এলাকাটি একটি নিঝুম গ্রামের মতো ছিলো। এখন বিসিককে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায়ও দোকানপাট-পাকাঘর বাড়ি উঠে গেছে। ফলে আমাদের এলাকায় অনেকেরই কাজের সুযোগ হয়েছে।
সারেং ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করেন ৮০ জন শ্রমিক। সারাদেশে সৌখিন ও অফিস ফার্নিচার সরবরাহ করে এ প্রতিষ্ঠানটি। রহমত নামের এখানের এক শ্রমিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগে বেকার ছিলাম। অর্থনৈতিক সামস্যায় জর্জরিত ছিলাম। বিসিকের এই ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করে এখন ভালই সংসার চলছে।
হাবিব ওয়েল ইন্ডাট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল করিম নজরুল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঢাকায় আমাদের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে ঝালকাঠি আমাদের গ্রামের বাড়ি। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের কারণে এলাকায় আমাদের যাতায়াত সহজ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা কারখানায় পণ্য আনা নেয়ায় সহজ হওয়ায় বিসিকে সরিষার তেলের মিল স্থাপন করেছি।
ঝালকাঠি বিসিকের শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. আল-আমীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে, খুব শিগগিরই এ শিল্পনগরীতে সবগুলো শিল্প কল-কারখানা চালু হতে যাচ্ছে। পায়রা বন্দর ও পদ্ধা সেতুকে ঘিরে ঝালকাঠির এই শিল্পনগরী একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ১১ একর জমির ওপর যাত্রা শুরু করা ঝালকাঠি শিল্প নগরীতে মোট ৭৯টি প্লট রয়েছে। এরমধ্যে ৫২টি প্লট উদ্যোক্তাদের মধ্যে বরাদ্দ হয়েছে। বাকিগুলো বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলছে।