সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ৭৪ নম্বর হাটগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে অনেক আগেই। ভবনের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। পানিতে ভেজা ভাঙাচোরা মেঝে। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। অথচ ওই পরিবেশেই পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এর ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও ঝরে পড়তে শুরু করেছে।
জানা গেছে, ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি চারবার যমুনার ভাঙনের কবলে পড়ে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে। ২৪ বছর আগে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি পাকা ভবনে পাঠদান শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে অনেক। কিন্তু বাড়েনি শ্রেণিকক্ষসহ কোনো সুবিধাদি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ায় কালচে হয়ে গেছে। ছাদের অনেক স্থান থেকে পলেস্তরা খসে পড়েছে। ভবনের মেঝের ও বারান্দার সব পলেস্তরা উঠে গেছে। পানি পড়ার কারণে মেঝে স্যাঁতসেঁতে থাকায় শ্রেণিকক্ষে উইপোকা মাটি তুলছে প্রতিনিয়ত।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়টির এ অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মোস্তাফা কামাল বলেন, ‘অনেক আগেই উপজেলা শিক্ষা কমিটি বিদ্যালয় ভবনটিকে জরাজীর্ণ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মেরামতের জন্য এ স্কুলে কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। অথচ বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন জরুরি।’
কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে হয়তো সঠিক সময়ে তথ্য না পাওয়ায় বিদ্যালয়টির জন্য বরাদ্দ বাদ পড়ে থাকতে পারে। তবে বরাদ্দের জন্য সুপারিশ করা হবে।’