ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান

যশোর প্রতিনিধি |

কালবৈশাখী ঝড়ে অভয়নগর উপজেলার মথুরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা উড়ে যায়। ২০ দিনেও কোনো সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা মেরামতের দাবি করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

জানা গেছে, গত ২৩ মে মঙ্গলবার স্কুল ছুটির পর কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা উড়ে যায়। পরবর্তী সময়ে স্কুলের তহবিল থেকে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা আংশিক মেরামত করা হয়। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ষষ্ঠ শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা মেরামতের জন্য স্কুল পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়। সরজমিনে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠদানে সমস্যার কথা তুলে ধরে উড়ে যাওয়া টিনের চালা মেরামতের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করে।

অষ্টম শ্রেণির সিনথিয়া আক্তার, সপ্তম শ্রেণির মালতি রাণী ও ষষ্ঠ শ্রেণির সিয়াম হোসেন জানায়, প্রায় ২০ দিন ধরে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে পাঠদান করছে। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার কে নেবে? স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী জানান, স্কুলের তহবিল থেকে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা আংশিক মেরামত করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা মেরামতের অর্থ তহবিলে না থাকায় সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, কোমলমতি শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে লেখাপড়া করছে।

শ্রেণিকক্ষ মেরামতের জন্য গত ২৫ মে ৮ বান টিন ও ৫০ হাজার টাকা অনুদান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তার কোনো কিছুই এখনো মেলেনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, বর্তমানে কোনো টিন না থাকায় জেলা প্রশাসকের কাছে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই মথুরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সহযোগিতা করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024950504302979