মারা গেছেন ‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অস্কারবিজয়ী প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। হলিউডের বিখ্যাত নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে জুটি বেঁধে সর্বকালের সবচেয়ে বড় তিনটি ব্লকবাস্টার সিনেমা বানিয়েছিলেন তিনি।
প্রযোজকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার পরিবার (ছেলে জেমি ল্যান্ডো এবং জোডি এবং তার স্ত্রী জুলি)। মৃত্যুর তথ্য জানালেও কবে, কীভাবে এবং কী কারণে জনের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হঠাৎ অস্কারজয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। শোক প্রকাশ করেছেন বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরনও।
পরিচালক জেমস ক্যামেরনের অস্কারজয়ী সিনেমা ‘টাইটানিক’-র হাত ধরেই প্রযোজকের তালিকায় নাম লেখান জন ল্যান্ডাউ।
বিশ্বব্যাপী ‘টাইটানিক’ আয় করে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। হলিউডে এটিই ছিল প্রথম সিনেমা যেটি বিশ্বব্যাপী এত অর্থ আয় করে।
অস্কারেও বাজিমাত করে সিনেমাটি। ১১টি ক্যাটাগরিতে জিতে নেয় পুরস্কার। আর এ সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা ‘লাইটস্টর্ম এন্টারটেইনমেন্টের’ প্রধান অপারেটিং অফিসার ছিলেন জন।
জনের মৃত্যুতে ডিজনি এন্টারটেইনমেন্টের কো-চেয়ারম্যান জন বার্গম্যান এক বিবৃতিতে লেখেন, জন ছিলেন একজন স্বপ্নদর্শী যার ছিল অসাধারণ প্রতিভা। তাই বড় পর্দায় কিছু অবিস্মরণীয় গল্প নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অসাধারণ অবদানের চিহ্ন রেখে গেছেন। একজন আইকনিক এবং সফল প্রযোজক ছিলেন ল্যান্ডাউ।
অ্যাভাটার তারকা জো সালদানা জনকে উদ্দেশ করে লেখেন, আপনার বুদ্ধি এবং সমর্থন আমাদের অনেককে জনপ্রিয় হতে সাহায্য করেছে। এজন্য আমরা সব সময় কৃতজ্ঞ থাকব। আপনার উত্তরাধিকার আমাদের অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জার্নিতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে সিনেমা জগতে প্রথম পা রাখেন জন। তখন প্রযোজক ছিলেন না। ক্যারিয়ার শুরু করেন প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে। এরপর কঠোর নিষ্ঠা আর পরিশ্রমে তিনি হয়ে ওঠেন একজন সফল প্রযোজক।