নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ওরিয়েন্ট টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে অবৈধ নিয়োগ প্রদানের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো: নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে নেত্রকোনার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম এবং সদস্য মাসুদুর রহমান বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিয়োগ জালিয়াতি করে দেওয়া হয়েছে।
প্রভাষক কম্পিউটার অপারেশন পদে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকের নিবন্ধন ভুয়া ছিল। উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষকের সার্টিফিকিট জাল এবং নিবন্ধনের সনদ ভুয়া। এ নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি নাই। এপদে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করতেন এবং ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে শারীরিক অক্ষমতা দেখিয়ে পেনশনে গিয়ে সরকারি ভাতা উওোলন করেন এবং পরে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
প্রভাষক কম্পিউটার অপারেশন ২য় পদের ট্রেড অনুমোদনের পূর্বেই নিয়োগ প্রদান করা হয়। হিসাব বিজ্ঞান ২য় পদে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষকের নিবন্ধন ভুয়া, ট্রেড /স্পেশালাইজেসন অনুমোদনের পূর্বেই তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর পদে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যাক্তির কম্পিউটার সাটিফিকিট জাল ও ভুয়া।
কলেজের অধ্যক্ষসহ তিন জন মিলে সরকারি বিধি লঙ্ঘণ করে অনিয়ম ও টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেন মর্মে অভিযোগ করে তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। প্রতিষ্ঠানে বেতনভুক্ত শিক্ষকরা অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় এ কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতির দুর্নীতি জালিয়াতি এমনকি নিয়োগ বাণিজ্যর বিরুদ্ধে কিছুই বলতে পারেন না বলেও জানানো হয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ প্রমাণসহ কারিগরি শিক্ষা অদিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে।