রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের সাঁজুরিয়া জেহরা জেরীন উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলটিতে ২০১৮ সালের এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় ৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় মাত্র ১৭ জন। অভিযোগ উঠেছে, ফরম পূরণের সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের উদ্দেশে বাকিদের অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকলে তা ফেরত দিতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফেরত দিতে বলেছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক কয়েক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে, তারা সারা বছর স্কুলের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়েছে। নির্বাচনী পরীক্ষাও ভালো দিয়েছে। এরপরও নির্বাচনী পরীক্ষায় তারা কৃতকার্য হয়নি। স্থানীয় লোকজন প্রশ্ন তুলেছে, ৯৭ জনের মধ্যে ১৭ জন কৃতকার্য হলে সারা বছর শিক্ষকরা কী করেন?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শের আলী বলেন, ‘কোয়ালিটি যাচাই করতে, টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কিছুটা কঠিন করা হয়েছিল। ৪৮ শিক্ষার্থী মাত্র দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে।
আর অন্যরা আরো বেশি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। স্থানীয়দের চাপে সবাইকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দিতে হচ্ছে। ’ প্রধান শিক্ষক বলেন, এবার বোর্ড থেকে একজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এক হাজার ৫৮৫ টাকা নিতে বলা হয়েছে। তবে বিভিন্ন উন্নয়ন ফিসহ নেওয়া হয়েছে এক হাজার ৮০০ টাকা। আর যারা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ভবন উন্নয়ন ফিসহ দুই হাজার এবং যারা আরো অধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদের কাছ থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, পাংশা উপজেলার প্রতিটি স্কুলেই অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন করেছেন এবং অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’ তবে ভবন উন্নয়ন ফি ফেরত দেবেন না বলেও জানান প্রধান শিক্ষক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি রিট করা আছে। ফলে বোর্ড নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।