হাতে পেরেকবিদ্ধ গীতাঞ্জলি, মুখে টেপ আটকানো কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অভিনব প্রতীকী ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের বাধার প্রতিবাদ জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকী ভাস্কর্যটি।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাশে এ প্রতীকী ভাস্কর্য রাখা হয়েছে। জানা গেছে, বইমেলায় আদর্শের স্টল বরাদ্দের না দেয়া, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানিসহ বইমেলাতে লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার মত বিষয়গুলোতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে এর মাধ্যমে।
ভাস্কর্যটি নির্মাণের অন্যতম উদ্যোগতা ও ছাত্র ইউনিয়নের ‘বিদ্রোহী’ অংশের সভাপতি নজীর আমিন চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা দেশের অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখেছি যেখানে মানুষের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে আমরা এ ভাস্কর্য স্থাপন করেছি।
বিশ্বকবিকে ভাস্কর্যের বিষয় হিসেবে নেয়ার বিষয়ে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথ হিসেবে যে আবেদন সেটি এ ধারণার সঙ্গে ভালো হতে পারে। তাই তার ভাস্কর্য প্রতীকীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বাঙালি মাত্রই স্বীকার করবেন রবীন্দ্রনাথ মুক্তচিন্তা শিল্পসাহিত্য এবং সৃজনশীলতার প্রতীক। এখন মুক্তচিন্তা, নতুন লেখা রাষ্ট্র কর্তৃক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা দেখিয়েছি তিনি হাতের বইটা খুলতে পারছে না, মুখে টেপ লাগানো। এর মাধ্যমে মুক্তচিন্তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেটিই বুঝাতে চেয়েছি।
প্রসঙ্গত, বইমেলার টিএসসি সংলগ্ন প্রবেশপথে দেখা মিলবে এ ভাস্কর্যের। বাঁশ, থার্মোকল, বাইরে বইয়ের পাতার আবরণ দিয়ে তৈরি এ ভাস্কর্য গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাশে স্থাপন করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে ভাস্কর্যটি থাকবে বলে জানা গেছে।