টিকার খরচের নামে টাকা আদায় : দুই প্রধান শিক্ষককে শোকজ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি |

করোনা ভ্যাকসিন নিতে জেলা সদরে যাতায়াত ও নাস্তা খরচের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের দায়ে সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও তালেবপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। তাদের এ-সংক্রান্ত নোটিসহ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের নির্দেশনা দেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮৪৫ জন এবং রবিবার তালেবপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে জেলা সদরে নিয়ে টিকা দেয়া হয়। টিকা দেয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০০ করে টাকা নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান ও কহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন : মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়ার টাকা ফেরত দিলেন প্রধান শিক্ষক

এতে সমালোচনার মুখে শনিবার বিকালে মাইকিং করে ঘোষণা দিয়ে টাকা ফেরত দেন সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপরদিকে সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তালেবপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কহিনুর রহমান টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে জানা গেছে। তালেবপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কহিনুর রহমান বলেন, আমি কারণ দর্শানোর নোটিস পেয়েছি। নির্ধারিত সময়েই মধ্যেই জবাব দেব।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ করোনা ভ্যাকসিনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই সঙ্গে অফিসিয়ালি দুই প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023820400238037