জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলে মিজাউল হাসান কৌশিক ও নাজমুল হাসান নামে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে একই হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী। অভিযুক্ত শাহাদাৎ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। বুধবার সকালে টি-শার্ট পরে ক্লাসে যাওয়ার অপরাধে তাদের মারধর করা হয় বলে জানা যায়। এর আগেও অভিযুক্ত এই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাজমুল ও কৌশিক ক্লাসে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির অতিক্রমকালে শাহাদতের সাঙ্গে দেখা হয়।
শাহাদৎ তাদেরকে টি-শার্ট পরতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে শার্ট পরে ক্লাসে যেতে বাধ্য করে। ক্লাস শেষে দুপুরে হলে ফেরার পর শাহাদত গণরুমে গিয়ে নাজমুল ও কৌশিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে শাহাদৎ তাদেরকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। মারধরের সময় নাজমুলের গায়ে থাকা শার্ট ছিঁড়ে ফেলে। মারধরের শিকার নাজমুল ও কৌশিক বলেন, শুধু মাত্র টি-শার্ট পরার অপরাধে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করেছে। এ বিষয়ে শাহাদাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, টি-শার্টি পরে ক্লাসে যেতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা আমাদের কাথা অমান্য করায় গণরুমে গিয়ে ভুল করেই তাদেরকে কয়েকটা চড়-থাপ্পড় মেরেছি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা গণরুমে যাবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কোন অসুবিধা হচ্ছে কি না? কারো কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করবে। কিন্তু গণরুমে গিয়ে মারধর করাকে কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থের ব্যাপারে আমরা সর্বদা সতর্ক অবস্থানে আছি। কিন্তু ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ অপরাধ ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয় তবে অবশ্যই তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।