টেন্ডার ছাড়াই স্কুলভবন বেচে দিলেন প্রধান শিক্ষক

দৈনিকশিক্ষাডটকম, বরগুনা |

বরগুনার আমতলীতে টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের পুরাতন দুটি ভবন বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার গুলিশাখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম ঘটিয়েছেন এই কাণ্ড।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গুলিশাখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের পুরাতন দুটি ভবন ভেঙে ভবনের ভেতর থেকে বের হওয়া পুরাতন ইট, টিনসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন পাকা ভবন ও আরেকটি লম্বা টিনশেড ভবন ভেঙে এর যাবতীয় মালামাল লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম। শুধু স্থানীয়রাই নন, সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরাও বিষয়টি দেখে প্রধান শিক্ষকের চাপের কারণে তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না।

প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, ‘একটি চক্রান্তকারী মহল বিদ্যালয়ের উন্নয়ন দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। স্কুলের পুরাতন ভবন বিক্রি করে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ ও শিক্ষকদের জন্য শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে।’

টেন্ডার ছাড়া পুরাতন ভবন ভাঙা ও বিক্রি করা যায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই।’

স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এইচ এম মনিরুল ইসলামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘স্কুল বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি জানি না।’

বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভাঙতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলীর মাধ্যমে ওই ভবনের মালামালের মূল্য নির্ধারণসহ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে টেন্ডার কমিটির মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বান করে অথবা প্রকাশ্যে নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ না করে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে ফেলা কিংবা বিক্রয় করা অনিয়মের পর্যায়ে পড়ে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফুল আলম বলেন, ‘ঘটনা সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030040740966797