ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাসির উদ্দীন (২৫) নামের এক যুবক ভাঙচুর চালিয়েছেন। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ওই যুবক। এ ঘটনায় তাকে বাধা দিতে গেলে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ গুরুতর আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন।
আটক নাসির উদ্দীন হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মারাধার গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সকালের দিকে জেলা প্রশাসক ভবনের উপরে উঠে নাসির উদ্দীন । এরপর একটি বেলচা দিয়ে প্রায় ৩১টি জানালার থাই গ্লাসসহ মুজিব কর্নারের সকল গ্লাস, দরজা ভাঙচুর করে। অনেক শব্দ পেয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী হরকান্ত বর্মণ এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করার চেষ্টা করে ওই যুবক। পরে সে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় নাসিরকে বাঁধা দিতে গেলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদকে গুরুতর জখম করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সেই সঙ্গে সিসিটিভিতে পুরো ঘটনা দেখে প্রকৃত ঘটনা যানা যাবে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মারাধার গ্রামের নাসির উদ্দীনের প্রতিবেশী ইয়াশিন আলী বলেন, ছেলেটির মাথার সমস্যা আছে। মাদ্রাসাতে দাখিল পড়ার সময় মাথার সমস্যা হয় নাসিরের। পরে সে দাখিল পরীক্ষা দিতে পারেনি। দুই সন্তানের বাবা নাসির মাথার সমস্যা থাকায় কাজ করতে পারে না। গ্রামের একটি মসজিদে ছোট শিশুদের পড়ানোর বিনিময়ে আমরা তাকে সপ্তাহে ১৫ কেজি চাল দেই। সেইগুলো দিয়েই তার সংসার চলে। সকালে সে শিশুদের পড়ানোর পরে বাহিরে যায়। পরে খবর পেলাম সে ডিসি অফিসে ভাঙচুর করেছে।