নার্স ও নার্সিং পেশাকে ‘অবমাননাকর বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগ ও নার্সিংয়ের মহাপরিচালকসহ সকল পদে নার্সদের পদায়নের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষার্থী, সদর হাসপাতালের নার্সিংয়ের সকল কর্মকর্তাদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে সদর হাসপাতাল থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ শেষে পূর্বের স্থানে শেষ হয়।
মানবন্ধনে চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর ফরিদা ইয়ামিন বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের সঙ্গে অপেশাদার দায়িত্ব সুলভ আচরণ করেছেন।
একইসঙ্গে তাদের পেশাকে অপমান করেছেন। নার্সিং ও মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হয়ে নার্সদের সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য না। অনতিবিলম্বে তার এই বক্তব্যের জন্য তাকে অবশ্যই নার্স জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এমনকি মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
ফরিদা ইয়ামিন বলেন বলেন, মহাপরিচালক বক্তব্যে নার্স ও নার্সিং পেশাকে মারাত্মকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে যা নার্সিং সমাজকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তুলছে। তিনি ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ না করলে নার্স সমাজ কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে বাধ্য হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার মোছা. রোকেয়া, নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পারুল মন্ডল, সিনিয়র স্টাফ নার্স সানি ও নাজমুল। এছাড়া জেলার শতাধিক নার্স, নার্সিং শিক্ষার্থী ও নার্সিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নার্সদের বদলি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিন্ডিকেট নিয়ে একদল নার্স কথা বলতে গেলে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর তাদের সঙ্গে অপেশাদারিত্ব সুলভ আচরণ করেন। তার এই বক্তব্যে নার্স ও নার্সিং পেশাকে মারাত্মকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন নার্সিং সমাজ।
এরপরই মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই ‘মার্চ টু ডিজিএনএম’ শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন নার্সিং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর দেশব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দেন।