ডিসেম্বরের শেষে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে: বাণিজ্য সচিব

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।  

আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য কমাতে চেষ্টা করছি। তবে নতুন উৎপদিত পণ্য বাজারে এলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক হতে পারে।

বাজার মনিটরিংয়ের কারণেই দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মন্তব্য করে সচিব বলেন, তা নাহলে বাজারে পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়ত।

আমদানির কারণে ডিম ও আলুর দাম কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন উৎপাদিত পণ্য বাজারে এলে দাম কমবে। এর আগে চাপের মধ্যে থাকতে হবে।

বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে সচিব বলেন, মৌসুমটা এমন যে বছরের শেষ পর্যায়, এ সময়ে বাজারে স্টক থাকে না। কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে এই সময় পণ্য থাকে। এ কারণেই এই সময়ে দাম বাড়ে।

তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজের যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে, তাতে কেজিপ্রতি পড়ে ১৩০ টাকা। দামের বিষয়ে ডিসির নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিংসহ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ডিম ও আলুর পর এবার লবণ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সচিব জানান, প্রাকৃতিক কারণে লবণের উৎপাদন মৌসুম বিলম্বিত হচ্ছে। বাজারে যেন লবণের কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য এই অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ১৫ দিন আগে থেকেই লবণের উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা। উৎপাদন কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এ কারণে মন্ত্রণালয় মনে করেছে যে, পূর্ব সতর্কতা হিসেবে কিছু লবণ আমদানি করে রাখলে যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

পূর্ব সতর্কতা হিসেবেই এই অনুমোদন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই মৌসুমে প্রাকৃতিক কারণে লবণ আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে সেজন্যই পূর্ব সতর্কতা হিসেবে আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সচিব জানান, গত বছর সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল বলেই কিন্তু কুরবানির ঈদের সময়ও আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়নি। তখন যথেষ্ট লবণ ছিল।

ডিম আমদানির বিষয়ে তপন কান্তি জানান, ডিম আমদানিতে দেরির কারণ বার্ড ফ্লু পরীক্ষা। ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। এখন ডিম আসতে থাকবে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঘুষকাণ্ড চাপা দিয়ে স্কুল অডিটে মনকিউল - dainik shiksha ঘুষকাণ্ড চাপা দিয়ে স্কুল অডিটে মনকিউল শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার, জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার - dainik shiksha শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার, জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার মাউশি কমকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে লিয়াকত-অহিদুর - dainik shiksha মাউশি কমকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে লিয়াকত-অহিদুর নবম-দশমের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা আপলোডের নির্দেশ - dainik shiksha নবম-দশমের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা আপলোডের নির্দেশ ক্ষমতায় গেলে ফরম থেকে কে কোন ধর্মের সেই প্রশ্ন তুলে দেয়া হবে - dainik shiksha ক্ষমতায় গেলে ফরম থেকে কে কোন ধর্মের সেই প্রশ্ন তুলে দেয়া হবে ডাকসুতে প্যানেল বাতিলসহ ৮দফা প্রস্তাবনা ইউআরআই‘র - dainik shiksha ডাকসুতে প্যানেল বাতিলসহ ৮দফা প্রস্তাবনা ইউআরআই‘র কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054090023040771