বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার পদ খালিডিসেম্বরে আসছে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দুই বছর পর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শূন্য থাকা প্রায় ৪০ হাজার পদে নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি আসছে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল ইতিমধ্যে মামলা করে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ওই অংশটির কারণেই প্রায় দু’বছর ধরে সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারছে না। তারা একে একে ১৬৬টি রিট মামলা করে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

নিয়োগ বন্ধে স্বার্থান্বেষী চক্রের পাঁয়তারায় কথাটি স্বীকার করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন। তিনি  বলেন, ফেসবুকে বেশকিছু গ্রুপ তৈরি হয়েছে। কিছু বুঝে হোক আর না বুঝে হোক এনটিআরসিএ’র বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা মামলা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। অনুসন্ধানে আমাদের কর্মকর্তারা পেয়েছেন, কোনো উদ্যোগ নিলেই ওই চক্রটি ফেসবুকে গুজব ছড়ায় ও অপপ্রচার চালায়। এরপর মামলার নামে অর্থ সংগ্রহ করে। এ প্রক্রিয়ায় ১৬৬ রিট মামলা হয়েছে। ওইসব মামলা শেষ করতেই প্রায় দু’বছর লেগেছে। লক্ষণীয় হচ্ছে, কোনো মামলায়ই রিটকারীরা জয়লাভ করেনি। যেহেতু বাণিজ্যিক মানসিকতা থেকে মামলা করে তারা মজা পেয়েছে। তাই এবারও মামলা করবে বলে শুনছি। ইতিমধ্যে আজকে (বুধবার) একটি ছেলে এসে হুমকি দিয়ে গেছে।

এনটিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, অযথা মামলা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে দেয়া তরুণদের খুঁজে বের করার চিন্তাভাবনা চলছে। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশে চিঠি পাঠিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে। সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, ওইসব যুবকের উদ্দেশ্য মহৎ নয়। মামলার নামে চাঁদা তুলে সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে মামলা করে সাধারণ প্রার্থীদের কাছ থেকে কী পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে, সেটাও বের করা হবে বলে ওই সূত্র জানায়। জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্যতা দূর করতে দুটো নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। একটি বিজ্ঞাপন আগামী মাসে দিয়ে ফেব্র“য়ারির মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। আরেকটা বিজ্ঞাপন মার্চ নাগাদ দেয়া হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রথম থেকে চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া ২০১৯ সালে দুটি নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা আছে।

 

সৌজন্যে: যুগান্তর


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034949779510498