কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে ডি-নথি (ডিজিটাল নথি) প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের ওপর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
রোববার ডি-নথি প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহারের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণে এটুআইয়ের ই-সার্ভিস বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ ও উপ-সচিব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ইউজিসির মাধ্যমে দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ডি-নথি কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। ডি-নথি মাধ্যমে আপনারা যেসব শ্রম নির্ভর কাজ করেন তা সহজ হয়ে যাবে। কাজের রেকর্ডগুলো অটোমেটিক্যালি লিপিবদ্ধ করতে পারবেন এবং কম সময়ে, কম শ্রমে দপ্তরগুলোতে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে পারবেন।
কুবির ডি-নথির বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ই-নথির সীমাবদ্ধতা দূর করতে ডিজিটাল নথির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি দপ্তর ডি-নথির আওতায় এসেছে। দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি চলবে। এতে প্রথম ধাপে ২০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা প্রশিক্ষণটি পাবে। এর মাধ্যমে আমরা পুরো প্রশাসনিক কার্যক্রমটিকে ডি-নথির আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহমুদুল হাছান, এটুআইয়ের ডি-নথি বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ এ টি এম আল ফাত্তাহসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম ধাপে দেশের আটটি এবং আগস্টে দ্বিতীয় ধাপে দশটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।