ডেঙ্গুতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যু

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি |

চট্রগ্রামের পটিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল (৩০ আগস্ট) বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আফনান নাছির বর্ষা (২১) নামের ওই ছাত্রী চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

নিহত বর্ষা পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনানিহারা গ্রামের নাছির উদ্দিনের মেয়ে। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, আফনান ও তার ছোট ভাই আদনান গত এক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে আফনানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, তার ছোট ভাই আদনানও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় বসবাস করতেন।

বাবার সাথে আফনান নাছির বর্ষা

নিহত আফনান বর্ষার বাবা পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার মা ও শিশু হাসপাতালের পাশেই আমার বাসা। বাসায় থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু পজিটিভ হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা চলছিল। তার শরীরের প্লাটিলেট কাউন্ট ১ লাখের ওপর ছিল। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমার মেয়ের শুধু প্লাটিলেট কাউন্টের ওপর নির্ভর করে এককেন্দ্রিক চিকিৎসা করেছেন। তারা আমাদের বলেছেন, আপনার মেয়ে তো অনেক ভালো আছে। এখানে এমন রোগীও আছে যাদের প্লাটিলেট কাউন্ট ১০ হাজারে নেমেছে। এটাই বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু ডেঙ্গু যে তার কিডনি ও ফুসফুসে আঘাত হেনেছে তা আমাদের বলেনি।

এদিকে, মৃত আফনানের মরদেহ রাতেই তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় পটিয়ার বিনিনিহারা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৯ - dainik shiksha এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৯ পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027110576629639