দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দূরনিয়ন্ত্রিত খেলনা বিমান ও ড্রোন আকাশে ওড়াতে হলে অন্তত ৪৫ দিন আগে অনুমতি নিতে হবে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী অনুমতি নিতে হবে। এ ছাড়া বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে বিমান উড্ডয়ন এলাকার কাছে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চলাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আইএসপিআর বলেছে, কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি ওড়াচ্ছে। এ ছাড়া বিমানবাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চলাইট বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব একদিকে যেমন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তেমনি বিমান ও হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত রেডিও সংকেত আদান-প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
আইএসপিআর জানায়, বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়; যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।