ঢাকার ডিডি না থাকায় এমপিওভুক্তিতে শিক্ষকদের ভোগান্তি

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

মাধ্যমকি ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা আঞ্চলিক অফিস উপ-পরিচালক না থাকায় নতুন শিক্ষকদের এমপিও আবেদন নিষ্পত্তিতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আর পুরানো শিক্ষকদেরও বিএড স্কেল, উচ্চতর স্কেলের আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে না।

এদিকে এমপিও আবেদন নিষ্পত্তির শেষ সময় আজ মঙ্গলবার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি না হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা ফেব্রুয়ারির আগে বেতন- ভাতা পাবেন না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

মঙ্গলবার ঢাকা অঞ্চলের অসংখ্য শিক্ষক দৈনিক আমাদের বার্তাকে এই ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। 

শিক্ষকরা বলছেন, এমপিও আবেদনেরর সময় আরো বাড়িয়ে কাজটি হয় সে ব্যবস্থা করেন, না হলে হাজারো শিক্ষকের ২-৩ মাস কষ্ট ভোগ করতে হবে।

ঢাকার শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর, বলেন আমার আবেদন ডিডি অফিসে পড়ে আছে, নিষ্পত্তি হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই শিক্ষক।   

জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি একমাস পর পর বেতন-ভাতার সরকারি অংশ বা এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেন। 

এর আগে বির্তকিত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মোসা. রেবেকা সুলতানাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে পরে তাকে ওএসডি করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর আবার ডিডি পদ থেকে সরিয়ে মাউশি অধিদপ্তরে ন্যাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়। এরপর থেকেই ঢাকা অঞ্চলের ডিডি পদটি খালি রয়েছে।

ঢাকা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (ডিডি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ থেকে ১৩ ‘শ আবেদন জমা আছে কিন্তু ডিডি পদটি খালি থাকায় নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।

এর আগে মাসের শুরু থেকে ইএমআইএস সফটওয়্যারে সমস্যার কারণে এমপিও আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে পারছিলেন না নতুন শিক্ষকরা। আর পুরাতন শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেড ও বিএড স্কেলের আবেদনও করতে পারছিলেন না। এর প্রেক্ষিতে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই কার্যক্রমের সময় একদফা সময় বাড়ানো হলেও তা কাজে আসেনি। বর্ধিত এই সময়ের মধ্যেও কাঙ্ক্ষিত এমপিও আবেদন করতে পারেননি অসংখ্য শিক্ষক। তবে এবার আবেদন করতে পারলেও ঢাকা অঞ্চলের শিক্ষকরা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি - dainik shiksha অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল - dainik shiksha গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ - dainik shiksha ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস - dainik shiksha সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025341510772705