রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি করে পাঠানো হয় কক্সবাজারের চকোরিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এমনই এক চোর চক্রের দুই সদস্যকে রাজধানী ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে কলাবাগান থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নুর ইসলাম (৩৫), আবু বরকত মিশকাত (৩২)। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই চারটি আইফোন, ৩৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ও ৩টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: শহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, গত ২৭ মার্চ সকালে কলাবাগান থানার ক্রিসেন্ট রোড-২ এর একটি ফ্ল্যাটের ৬ষ্ঠ তলা থেকে চারটি আইফোনসহ নগদ ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা চুরি হয়। মোট ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা মূল্যের চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধারে কলবাগান থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এই ঘটনার তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, রমনা বিভাগের কলাবাগান থানার আভিযানিক একটি দল তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি’র ফুটেজ পযার্লোচনা ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের অবস্থান, নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পুলিশ গত ২৯-৩১ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধারসহ রাজধানী ঢাকা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানা এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরষ্পরের যোগসাজসে রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল, ল্যাপটপ চুরি করে গ্রেফতার অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। তারা চোরাই মোবাইল ফোনগুলোর আইএমআই নম্বর পরিবর্তন করে এবং মোবাইল ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৃথকভাবে খুলে স্বল্পমূল্যে অন্যত্র বিক্রি করে।
ঢাকার বাহির থেকে চোরাই জিনিসপত্র উদ্ধারের বিষয়ে শহিদুল্লাহ বলেন, তারা কুরিয়ার করে চোরাই জিনিসগুলো কক্সবাজারে পাঠিয়ে দেয়।
রাজধানীতে চোরাই জিনিসপত্র বিক্রির কোনো স্থান রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ডিসি বলেন, চোর চক্র রাজধানীর বাইরে চোরাই জিনিসগুলো পাঠিয়ে দেয়, রাজধানীতে মানুষ সচেতন হওয়ায় চোরাই জিনিসপত্র তেমন কিনে না, গ্রামের মানুষ একটি মোবাইল কম দামে কিনে নিতে পারে। তারা সাধারণত খোঁজ নেয় না কোথা থেকে মোবাইলটা এসেছে।
চোরাই মোবাইল বা কোনো জিনিস কেনার আগে যাচাই করে কেনার আহ্বান জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।