ঢাকা বোর্ডের মাসুদার দুর্নীতি তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

 

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা ও বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির নেতা মাসুদা বেগমের আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষক মাসুদা বেগম কয়েকবছর যাবত শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) পদে প্রেষণে কর্মরত। এই পদে থাকার সুবাদে তিনি বছরে বেতনের অতিরিক্ত ৭টি বোনাস পান।

জানা যায়, পুরান ঢাকার আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের গভর্নিংবডির সভাপতি থাকাকালে আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ মাসুদার বিরুদ্ধে। ঢাকাবোর্ডের প্রভাব খাটানোরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ স্কুলটি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও। ভুক্তভোগী অভিভাবকরা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাসুদা ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত এইসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর শিক্ষা সচিব বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে। ২রা ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিলেও গত সপ্তাহে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অধিদপ্তর। তদন্ত কমিটির সদস্যরাও বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভু্ক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষক ও বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সদস্য। তদন্ত কমিটির দু্জনই শিক্ষা অধিদপ্তরের দুটি পদে কর্মরত।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া তদন্তের নির্দেশনার কপি দৈনিকশিক্ষার হাতে রয়েছে।

শিক্ষা সমিতির অপর এক কর্মকর্তা জানান, চার মাস আগে জিয়া আরেফিন আজাদ নামের বি সি এস শিক্ষা সমিতির আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তারই কলেজের অধ্যক্ষ। মহাপরিচালকের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং শাখার উপ-পরিচালক কামাল উদ্দিন হায়দার। তদন্তে জিয়া নির্দোষ প্রমাণিত হন! অধ্যক্ষ জাতীয়কৃত শিক্ষক। জিয়া হায়দার ও কামাল হায়দার সরাসরি বি সি এস ক্যাডার।

শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, তিন মাস আগে শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন নৈশ প্রহরীর হাতে অপমানিত হন একজন নন-ক্যাডার কর্মকর্তা। ঢাকার বাইরে থেকে অধিদপ্তরেে এসেছিলেন অফিসের কাজে। অধিদপ্তরের পঞ্চম তলায় কর্মচারী সমিতির একজন নেতার সামনেই অপমানিত ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন ওই নন-ক্যাডার কর্মকর্তা। দু্ই মাস আগে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিনকে। তদন্ত শেষ হয়নি আজ অব্দি। নাসির উদ্দিন বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সদস্য।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049760341644287