ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে একই পদ্ধতিতে দুজনের মুঠোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলে করে এসে রিকশায় থাকা ব্যক্তিদের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়। এই দুই ঘটনার একটি ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের (এসএম হল) সামনে, অন্যটি শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে।
গত সোমবার দিবাগত রাতে এই দুই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসএম হলের সামনের সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে আর শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনের ঘটনাটি ঘটে এর মিনিট দশেক আগে। এর মধ্যে শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনের ঘটনাটির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে৷ তবে ফুটেজ অস্পষ্ট হওয়ায় ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি।
এসএম হলের সামনে মুঠোফোন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুহাম্মদ জাহিদ শেখ৷ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং মুঠোফোন উদ্ধারের জন্য সাহায্য চেয়ে প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। অন্যদিকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেলেও শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ছিনতাইয়ের শিকার মুহসীন হলের ছাত্র জাহিদ শেখ বলেন, ‘আমি পলাশী থেকে রিকশায় করে হলে ফিরছিলাম। এসএম হলের ফটক পার হওয়ার পর হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে এসে দুই ছিনতাইকারী আমার হাত থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে জগন্নাথ হলের ফটক অভিমুখে চলে যায়। ওই মোটরসাইকেলের পেছনে আরেকটি মোটরসাইকেলে শুধু একজন ছিলেন। ওই মোটরসাইকেলটিও দ্রুতগতিতে চলে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় ছিনতাইকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনের ছিনতাইয়ের ঘটনার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারীদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করতে পেরেছি।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাকসুদুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে ছিনতাইসহ নেতিবাচক ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসন সোচ্চার রয়েছে। সোমবার রাতের মুঠোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা দুটি পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।