ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদ। জাতিসংঘের সুপারিশ অনুযায়ী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সংশোধন, এই আইনে গ্রেফতার হওয়াদের মুক্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানায় ছাত্র সংগঠনটি।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিরোধী এক সমাবেশে লাল কার্ড প্রদর্শনের পাশাপাশি এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা এই কালো আইনকে লাল কার্ড দেখাচ্ছি, শিগগিরই এই আইন বাতিল করতে হবে। এই আইনে আটককৃতদের মুক্তি দিতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে চার বছরে প্রায় ২ হাজার ৮০০ মানুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই আইন দিয়ে চাইলে যে কাউকে যেকোনো সময় আটক করতে পারে। এই কালাকানুনে কোথাও স্পষ্ট করে সংজ্ঞায়িত করা নেই কোন কোন কথাগুলো, বক্তব্যগুলো দেয়া যাবে না। এ ধরনের মিথ্যা একটি আইন দিয়ে আধুনিক যুগে একটি অস্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যে অস্ত্র দিয়ে প্রতিবাদী মানুষদেরকে প্রতিবাদী সাংবাদিকদের, রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে যেখানেই প্রতিবাদ করছে সেখান থেকেই আটক করছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রথম আলোর বিপক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাপোর্ট দিয়ে কর্মসূচি পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও একই কাজ করছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে লজ্জিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহ-সভাপতি আখতার হোসেন, তারেক রহমানসহ অনেকে।