দোকান ভাঙচুরঢাবির তিন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ঢাবি প্রতিনিধি |

পলাশীর বুয়েট মার্কেটে খাবার দোকানে ভাঙচুর ও দোকান মালিককে মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিন নেতাসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন দোকান মালিক মোহাম্মদ আলমগীর।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) বলেন, ‘দোকানের মালিক বাদী হয়ে রাতেই এই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন। যেখানে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা এখন বিষয়টা দেখছি।’


আসামিরা হলেন- ২০০৬-০৭ সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান পোপ, এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু সায়েম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ও এসএম হলের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান পিকুল।

দোকানের মালিক আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ‘পিকুল, সায়েম এবং পোপ আমার দোকানের নিয়মিত ক্রেতা ছিল। কিন্তু খাবার-সামগ্রী কেনার পর তারা আমাকে কোনোদিন পুরো টাকা দিতো না। পুরো টাকা চাইলে নিজেদের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে হুমকি দিতো, মারতো এবং বলতো তোর দোকানের খাবারের স্বাদ নেই, খাবারে ময়লা থাকে, খাবারের দাম বেশি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো শুক্রবার দুপুরেও তারা আমার দোকানে খেতে আসে। খাওয়ার পর টাকা চাইলে তারা আমাকে মারধর করে এবং বলে ‘তোর খাবারে ময়লা ছিল তাই টাকা দেবো না’। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের কয়েকজন ছাত্র আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে তারা। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় তারা হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসে এবং আমার দোকান ভাঙচুর করে।’

তবে, অভিযুক্ত সায়েম তার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।’

এদিকে, খাবার দোকানে ভাঙচুর করে আসার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বুয়েট মার্কেটের আরও দুইটি দোকানে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মুজাহিদ কামাল উদ্দিনের নির্দেশে পলাশী বাজারের এই দোকানগুলো ভাঙচুর করা হয়। মুজাহিদ কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থী।

কামালের নির্দেশে দোকান ভাঙচুরে অংশ নেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নূরে আবিদ আনাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. মাসুদ রানা, পালি ও বুদ্ধিস্ট বিভাগের আজিজুল হক। তারা সবাই ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও এসএম হলের আবাসিক ছাত্র বলে জানা গেছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040490627288818