ঢাবির দুই হলে জলাবদ্ধতা, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ঢাবি প্রতিনিধি |

টানা বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ও শহীদ শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসের নিচতলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হলের নিচতলায় পানি উঠে এই জলাবদ্ধতা ও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এদিকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় রাত ১২টা থেকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় সময় পার করছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ৯টার পর থেকে হলের ভেতরে পানি প্রবেশ শুরু হয়। হলগেটে হাঁটুসমান পানি জমেছে। রাত ১১টায় হলের নিচতলার গণরুমগুলোতে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এসময় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে ওপরের তলায় বন্ধু বা সিনিয়রদের রুমে অবস্থান নেন। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

এদিকে টানা বর্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেক এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত রোড, শাহনেওয়াজ হোস্টেল, নিউমার্কেট এলাকা হাঁটুসমান এবং স্থানভেদে কোমর পর্যন্ত পানি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে কুয়েত মৈত্রী হল তুলনামূলক নিচু অবস্থানে হওয়ায় বেশি দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

কুয়েত মৈত্রী হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, নিচতলায় সব রুমে পানি ঢুকে গেছে, অফিস রুমেও পানি ঢুকে গেছে, প্রায় হাঁটুসমান পানি, ওয়াশরুমগুলো ডুবে যাওয়ায় নোংরা পানি মিশে গেছে, হলের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ব্লাস্ট হয়ে আগুন লাগায় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করা হয়েছে, এখন হলে বিদ্যুৎ নেই।

আরেক এক শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কুয়েত মৈত্রী হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে নিচতলা ডুবে গেছে। পানি সিঁড়ির নিচ পর্যন্ত চলে এসেছে। গণরুমে পানি ঢুকে গেছে। হলের মুদি দোকানের ফ্রিজে পানি ঢুকে ব্লাস্ট করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ। এসময় তিনি গণরুমের শিক্ষার্থীদের তার নিজের রুমে আসার অনুরোধ করেন।

সার্বিক পরিস্থিতি জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের ফোন দেওয়া হলেও তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৯ - dainik shiksha এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৯ পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026040077209473