ঢাবির মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলে পদত্যাগ দাবি করেছেন হলটির আবাসিক ছাত্রীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত এ দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তারা হলে ফিরে যান। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকবছর যাবৎ হলের নানা সমস্যা তারা হল প্রাধ্যক্ষকে জানালে ও তিনি কোনো সমাধান করেননি। এছাড়া সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চারটি হল সাজানো হলেও কুয়েত মৈত্রী হল সাজানো হয়নি। তৃতীয়, চতুর্থ বর্ষে উঠেও সিট না পাওয়া যায় না। ক্যান্টিনের খাবারের নিম্নমান ও উচ্চ দাম নেওয়া হয়।  

শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতও উপস্থিত হন। অবস্থানের পরে রাত সোয়া ১১টা নাগাদ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে যান। সেখান থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক শেষে হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।  

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ছাত্রীরা তাদের দাবি দাওয়া উপাচার্যকে জানিয়েছে। উপাচার্য তাদের কথা শুনেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন। ছাত্রীরাও উপাচার্যের প্রতি আস্থা রেখেছে এবং হলে ফিরে গেছেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের কথাগুলো শুনেছি, তাদের কথাগুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে। সেগুলোর সমাধান কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিছু সমস্যা হলে রয়েছে। কিছু বিষয় আমলে নিলে, আন্তরিক হলে সমস্যার সমাধান করা যাবে৷


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027849674224854