ঢাবির সব শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আসছে

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার রুমে ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সভায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং শিক্ষা কারিকুলাম উন্নয়নসহ বিভিন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ন্যূনতম প্রিমিয়ামে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির লক্ষে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে সভাপতি করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় সভায়।

কমিটির সদস্যরা হলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ।

উল্লেখ্য, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবীমায় অংশগ্রহণ করতে হয়। অধিক এসডিজি অর্জন ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ের উন্নয়নে এ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

এ ছাড়া, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতন, দায়িত্ববোধ সম্পন্ন ভালো গ্র্যাজুয়েট ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে এই স্বাস্থ্যবীমা সহায়তা করবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।

সভায় এসডিজির ১৭টি গোল ও ১৬৯টি টার্গেটের কোনটি কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট কীভাবে অর্জন করবে তার একটি ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই ডাটাবেজ প্রণয়নে অনুষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিন এবং ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সমন্বয় করবেন। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের দফতরে এই ডাটাবেজ জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর ডিনস কমিটির সভায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে কারিকুলাম উন্নয়নের অনুরোধ করা হয়েছিল। এখনও যারা সেই নিরিখে কারিকুলাম উন্নয়ন করেননি তাদের কারিকুলাম উন্নয়নের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হয় আজকের সভায়। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং উন্নয়নে এ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা শেষে বাস্তবতার নিরিখে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষে প্রতিষ্ঠান (বিভাগ/ইনস্টিটিউট) এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কী কী চাহিদা/ঘাটতি রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করতে সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে প্ররণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এই চাহিদা নির্ধারণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালক সমন্বয় করবেন।

যাদের যে সীমিত সামর্থ্য আছে তা দিয়ে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করলেই প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঘাটতি/চাহিদা চিহ্নিত ও নিরূপণ করা দ্রুত ও সহজ হবে বলে সভায় আলোচনা হয়।

সভায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান ও শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন এবং অধিকতর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য, বিভাগ/ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনা করে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।

এ বিষয়ে অনুষদের সুপারিশসহ যাবতীয় তথ্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর জন্য সভায় ডিন/পরিচালকদের অনুরোধ জানানো হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036530494689941