ঢাবির হলে সিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ ছাত্রলীগ কর্মীদের

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে আশ্বাস সত্ত্বেও সিট না দেয়ায় ফেসবুকে  গণহারে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী।

গতকাল বুধবার দুপুর থেকে তারা পোস্ট দিতে শুরু করেন। পরে অনেকে পোস্ট ডিলিট করেন। তাদের পোস্টের কয়েকটি স্ক্রিনশট গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে রয়েছে। তারা সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এক শিক্ষার্থী পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের সিট লাগবে না। আর মাত্র ৩ বছর গণরুমেই কাটিয়ে দিতে পারবো। তৃতীয় বর্ষে গণরুম থেকে বলছি।’

কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘কর্মীদের প্রতি যারা উদাসীন, নেতৃত্ব তাদের জন্য বেমানান।’

একজন লিখেছেন, 'হলে সিট চেয়েছিলাম, ভিক্ষা চাইনি। সিট দিতে গিয়ে কেন এত অবহেলা। আপনারা (হলের পদপ্রত্যাশী নেতারা) আমাদের হলের অভিভাবক বলে মুখের কথা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু আপনারা কথা না রাখলে আর কাকে অভিভাবক হিসেবে বিশ্বাস করব?’

আরেকজন লিখেছেন, ‘দাসপ্রথার আধুনিক সংস্করণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমপ্রথা।'

নাম না প্রকাশের শর্তে এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, 'আমরা গণরুমে ২০-২৫ জন গাদাগাদি করে থাকি। আমাদেরকে ভাইয়েরা (নেতা) আশ্বাস দিয়েও সিট দিচ্ছেন না। তাই ফেসবুকে পোস্ট দিই। পরে অনেকে চাপের কারণে ডিলিট করে দিয়েছে। আমাকেও হয়তো ডিলিট করতে হবে।' 

তিনি বলেন, 'গত ১ তারিখ সমাবেশের পর ভাইরা আমাদের ডাকে। সেখানে তারা আমাদেরকে আজকে ৬ তারিখ সিট বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দেন। আজকে সিট দেয়ার কোনো কার্যক্রম না দেখে সবাই ক্ষোভ থেকে পোস্ট দিয়েছে।'

আসন্ন হল কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতা শয়নের অনুসারী রনি মাহিম শিশির বলেন, 'আমাদের হলে শিক্ষার্থী, সিটের সংখ্যা মিলিয়ে হিমশিম খেতে হয়। আমরা প্রাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে কথা বলে একটি সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করছি। দেখি কতটুকু করা যায়।'

আরেক পদপ্রত্যাশী নেতা তানভীর মাহমুদ খোরশেদ বলেন, 'হলের আসন সংকট নিরসনে কথা বলেছিলাম। আশা করছি, দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারব।'

জানতে চাইলে মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, 'আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।' 

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, 'ফেসবুকে পোস্ট দিলে আমার কিছু করার নেই। তারা সরাসরি আমার কাছে এসে বলতে পারে। তাদেরকে কে আশ্বাস দিল, আমি জানি না।'


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কলেজে সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া কোটায় ভর্তির সুযোগ - dainik shiksha কলেজে সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া কোটায় ভর্তির সুযোগ শিক্ষা সংস্কারে বাংলাদেশ-চীন কাজ করবে - dainik shiksha শিক্ষা সংস্কারে বাংলাদেশ-চীন কাজ করবে বয়স ৯ না হলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন নয় - dainik shiksha বয়স ৯ না হলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন নয় প্রাথমিকের ডিজিকে অপসারণে পঞ্চম দিনের আন্দোলন - dainik shiksha প্রাথমিকের ডিজিকে অপসারণে পঞ্চম দিনের আন্দোলন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য আহ্বান ‘মিনিস্ট্রি অডিটর’ হতে আগ্রহী হাজারো শিক্ষা ক্যাডার ! - dainik shiksha ‘মিনিস্ট্রি অডিটর’ হতে আগ্রহী হাজারো শিক্ষা ক্যাডার ! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া কর্মচারীদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া কর্মচারীদের তথ্য আহ্বান এমপিওবিহীন ৩য় শিক্ষকদের বাদ পড়ার কারণ জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha এমপিওবিহীন ৩য় শিক্ষকদের বাদ পড়ার কারণ জানতে চায় অধিদপ্তর সৃজনশীল পদ্ধতির পরীক্ষা ফিরছে - dainik shiksha সৃজনশীল পদ্ধতির পরীক্ষা ফিরছে অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু ১০ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু ১০ সেপ্টেম্বর দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029881000518799