ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজে চালু হতে পারে ৮ মাসের শিক্ষাবর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাস এবং বছরভিত্তিক সেশনকে আট মাস করার আলোচনা চলছে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেই এ ধরনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঢাবির জন্য এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অধিভুক্ত সরকারি কলেজগুলোতেও সেটি প্রয়োগ করা হবে।

অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শিক্ষার্থীদের তো আমরা বসিয়ে রাখতে পারবো না। এমনিতে করোনার সর্বশেষ এ ঢেউয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যে পরীক্ষাগুলো চলমান ছিল সেগুলোও স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া এর আগে থেকে তো সাত কলেজে সেশন জটিলতা নিয়েই এগোচ্ছে। আমরা সেটি কাটিয়ে উঠতে গিয়েও পারছি না।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সময় উপযোগী পরিকল্পনার কথা ভাবছে। আমরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বছরভিত্তিক সেশনকে আট মাস করা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সাত কলেজেও আমরা সেটি কার্যকর করবো। এ বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। শুধু এটা না, করোনা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ঢাবি আরও যেসব পরিকল্পনা করবে তা সাত কলেজেও বাস্তবায়নে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবারই শুধুমাত্র তাদের নিজেদের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে থাকেন। সাত কলেজ নিয়ে তাদের খুব একটা চিন্তা-ভাবনা করতে দেখা যায় না।

ঢাকা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের জন্যও ৮ মাসে একটি সেশন শেষ করা হোক। যেহেতু আমাদের সেমিস্টার পদ্ধতি নেই; আমাদে ইয়ার পদ্ধতি। তাহলে আমাদেরও সেশনজটিলতা কমে আসবে।

ঢাবির নেয়া পরিকল্পনার বিষয়ে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানিয়েছেন, করোনার কারণে চলমান সেশন জটিলতা কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই আমরা আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেব। এ পরীক্ষাগুলোর ফলাফল অল্প সময়ের মধ্যে প্রকাশেরও প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাস এবং বছরভিত্তিক সেশনকে আট মাস করার একটি আলোচনাও চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মে মাসের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সামনে এ বাকি সময়ের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে খুব দ্রুত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, যা করার খুব দ্রুত করতে হবে। যাতে করে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী কাজ করা সম্ভব হয়। এটাতে আমাদের সাত কলেজের জন্য সুবিধা হবে। ঢাবি সিদ্ধান্ত নিলে পরবর্তীতে আমরা আমাদের কলেজের জন্যেও কাজ করতে পারবো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046360492706299