ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটির দিনগুলোতে বহিরাগতদের আধিক্য এবং তাদের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে ভিড় জমায়। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সড়কে অতিরিক্ত যানযট এবং উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো নিয়েও বিরক্ত শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হলে বহিরাগতদের তাদের প্রবেশ শিথিল করার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাজরি মনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের ওখানে সিগন্যাল ছাড়তে না ছাড়তেই একটা প্রাইভেট কার একটি রিকশার সঙ্গে আটকে যায়। তখন রিকশার চাকাটাই খুলে যায়। রিকশার যাত্রী পড়ে গেছেন এবং চালক গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত চলে যায়।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমন বাড়ুই দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে দশটার আশেপাশে বক্সিবাজার মোড় দিয়ে একটা বিশাল ট্রাক বেপরোয়াভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকে জগন্নাথ হলের সামনের রোড দিয়ে বের হয়ে যায়। ট্রাকের যে স্পিড ছিলো, যেকোনো সময় খারাপ পরিস্থিতি হতে পারতো।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তন্ময় খা নামে আরেক শিক্ষার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রায় রাতেই ক্যাম্পাসে বাইক রেসিং হয়। এদের অধিকাংশই বহিরাগত। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য আশঙ্কাজনক।
সামাজিক মাধ্যেম সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সড়কে মালবাহী ট্রাকসহ উচ্চগতির যান চলাচল খুবই বিপজ্জনক। এ ছাড়াও তারা টিকটকারদের অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম ও ক্যাম্পাসে মাদকাসক্ত লোকজনের আনাগোনা নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত তারা।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন মতামতকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি দেশের মানুষের কাছে শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে উন্মুক্ত রাখা হয়। তবে প্রয়োজন হলে আমরা বহিরাগতদের তাদের প্রবেশ শিথিল করবো।