ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান একটি অনলাইন টকশোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও দু'টি হলের ছাত্র নেত্রীদের নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরইমধ্যেই একটি অডিও ফাঁস ও অনলাইনে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের জেরে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারাতে হয়েছে তাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মুরাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ করেছেন, জুলিয়াস সিজার নামের এক শিক্ষার্থী। জুলিয়াস সিজার নামের নামে অভিযোগ দায়ের করা ওই শিক্ষার্থী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। পরে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিচার চেয়ে মামলার আবেদন করতে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তারা মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
পুলিশ বলছে, অভিযোগটি গ্রহণ করে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। রাজধানীর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন তারা আইন অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখার নেত্রীরা বলছেন, হয়তো ব্যক্তিগত না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই মুরাদ হাসান উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেসমীন শান্তা জানান, ডা. মুরাদ হাসান কারও কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আক্ষেপ থেকে অতিরঞ্জিত এমন কথা বলেছেন। অপ্রাপ্তি থেকেই হয়তো মুরাদ হাসান এমন মন্তব্য করেছেন বলেও জানান জেসমীন শান্তা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রনক জাহান রাইন বলেন, অতিরিক্ত পুরুষতান্ত্রিক ভাবনা থেকেই এমন মন্তব্য করে থাকতে পারেন। নারীর ক্ষমতায়নকে আমরা খুব সহজভাবে মেনে নিতে পারিনা। এছাড়া হয়তো না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেও মুরাদ হাসান এমন মন্তব্য করতে পারেন বলেও জানান রনক জাহান রাইন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মুরাদের বিচার দাবি করেছেন।
সম্প্রতি নাহিদ রেইনস পিকচারস নামকে এক ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। মুরাদ হাসানের ওই বক্তব্যকে বিদ্বেষমূলক ও বিকৃত যৌনাচার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এছাড়া দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।