ঢাবি শিক্ষকদের হাতাহাতির প্রতিবেদন: প্রক্টরের প্রতিবাদলিপি ভুলে ভরা

ঢাবি প্রতিনিধি |

গত ২রা নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের শিক্ষকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ‘খণ্ডিত’ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। যার বেশ কয়েকটি শব্দের বানানই ভুল।

‘দৈনিক পত্রিকা’র চিফ রিপোর্টার-বার্তা সম্পাদক বরাবর পাঠানো ৩রা নভেম্বরের এই বিবৃতি অসংশোধিত বানানসহ হুবহু তুলে ধরা হলো:

“প্রিয় মহোদয়,

আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আজ ৩ নভেম্বর আপনার প্রত্রিকায় (পত্রিকায়) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের সাধারণ সভায় হাতাহাতি ও সভা পণ্ড সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদটি খণ্ডিতভাবে প্রকাশিত হওয়ায় প্রকৃত ঘটনা এবং আমার নিম্নোক্ত বক্তব্যটি গুরুত্বসহকারে আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করছি।

প্রকৃত ঘটনা এবং আমার বক্তব্য

গতকাল ২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের সাধারণ সভায় সংঘটিত প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে যে, নীল দলের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা পর্যায়ক্রমে নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন এবং এক পর্যায়ে আমাকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়া হয়। আমার বক্তব্য চলাকালে ওঠে (উঠে) এসে অধ্যাপক আ. ক. ম জামাল উদ্দিন অতর্কিতে (অতর্কিতভাবে) আমার বুকের বাঁ দিকে দুই হাত দিয়ে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি স্তম্ভিত ও হতবিহবল (হতবিহ্বল) হয়ে পড়ি এবং চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি। অতঃপর অধ্যাপক জামাল উদ্দিন উপর্যুপরি আমার প্রতি আক্রমণে উদ্যত হলে উপস্থিত শিক্ষবৃন্দ (শিক্ষকবৃন্দ) আমাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন এবং আমাকে ঘিরে রাখেন। কাজেই অধ্যাপক জামাল উদ্দিন তাকে শারিরীকভাবে (শারীরিক) আক্রমণ করার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করেছেন- তা সর্বৈব (সবৈর্ব) অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণের পর মিথ্যাচারের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপপ্রয়াসের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

দৈনিক পত্রিকার চিফ রিপোর্টার-বার্তা সম্পাদকের বরাবর পাঠানো এই বিবৃতির বক্তব্য অংশের নিজের স্বাক্ষরের উপরে প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী লিখেছেন ‘আপনার বিশ্বস্ত’।

২রা নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় পূর্ব নির্ধারিত এক সভায় অংশ নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন আওয়ামী-বাম সমর্থিত নীল দলের শিক্ষকরা। এমনকি এক পর্যায়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর কয়েকটি কথার জবাব দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীনকে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

‘এরপর প্রক্টরের সঙ্গে যোগ দেন রসায়ন বিভাগের শাহ মুহাম্মদ মাসুম। তিনি আমাকে ঘুষি মারেন, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার আমাকে আবারো ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন।’

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন ২ নভেম্বর রাতে চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে এভাবেই সেই পরিস্থিতির বর্ণনা দেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030391216278076