আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল নীল দল এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থি সাদা দল অংশগ্রহণ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব ভবনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা প্রায় দুই হাজার জন। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী।
নীল দলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও তার পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন, দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের প্রাধক্ষ্যের দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, সমিতির পূর্বের কমিটির দেওয়া অধিকাংশ ওয়াদা আমরা পূরণ করতে সমর্থ হয়েছি। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাকাডেমিক ও অবকাঠামোগতভাবে বিশ্বের বুকে দাঁড় করাতে চাই। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের এই কাজে সহযোগিতা করবেন।
বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের সভাপতি প্রার্থী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম জানান, বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ক্ষমতার অসামঞ্জস্যতার কারণে শিক্ষকরা দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে শিক্ষকরা আমাদের নির্বাচিত করবেন বলে আশা করছি। এদিকে, ২০১৬ সালের কার্যকরী পরিষদে আট প্যানেল এবং ২০১৭ সালে নয় প্যানেলে প্রার্থী দিয়ে নীল দল থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় বাম সমর্থিত গোলাপি দল। কিন্তু ২০১৮ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা দেয়নি দলটি।