তথ্যমন্ত্রীর প্রিয় শিক্ষক মোহাম্মদ ইসহাক আর নেই

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

স্কুলজীবনের প্রিয় শিক্ষক মোহাম্মদ ইসহাক এর খোঁজ নিতে তাঁর বায়েজিদ থানাধীন টেক্সটাইল ৩ নম্বর রোডের বাসায় গিয়ে পা ছুঁয়ে সালাম করেছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সেই শিক্ষক শুক্রবার (৫ মে) সন্ধ্যায় নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। 

তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। জীবনের শেষ সময়গুলোতে তিনি থাকতেন ব্যাটারিগলির বাসভবনে।

বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। স্বাধীনতার পূর্ব থেকে অবসর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসরের পরও বাসায় ইংরেজি বিষয়ে ব্যাচ পড়াতেন। 

মোহাম্মদ ইসহাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করার পর আবার বৈরুতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। 

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক মোহাম্মদ ইসহাকের সান্নিধ্যে এসে আবেগাপ্লুত হন তথ্যমন্ত্রী। ‘শিক্ষকতায় না এলে তিনি সচিব হতেন’ তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে মোহাম্মদ ইসহাক বলেছিলেন, ‘আমি তো সেখানে (প্রশাসনের কর্মকর্তা) যাবো না বলে আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম’।  

স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী জানতে চান, ‘স্যার আগে সাইকেল চালাতেন, এখনো কি চালান ?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন ধরে চালাই না’।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসহাক স্যার সে সময়ে বাইসাইকেল নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিতেন। স্যারের মতো গুণী শিক্ষকরা তাঁদের মেধা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশে আলোকিত মানবসম্পদ তৈরিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। স্যারের অসামান্য অবদান ভুলে যাবার নয়।

প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। শনিবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি ব্যাটারিগলির বাসভবনে গিয়ে মরহুমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান এবং আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054910182952881